ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে কুড়িগ্রামে দেড়শ বিঘা বোরো ধানক্ষেত নষ্ট

গাইবান্ধা ডট নিউজ | শুক্রবার ১১ মে, ২০১৮

অনলাইন নিউজ ডেস্ক:

ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে দেড়শ বিঘা জমির বোরো ধান পুড়ে গিয়ে নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের রসুলপুর ব্রহ্মতর গ্রামে প্রায় শতাধিক কৃষক এই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ফসল হারিয়ে এখন তারা দিশেহারা। বোরো মৌসুমে ধান তুলতে না পেরে ঘরের খাদ্যের জোগান নিয়ে পড়েছেন বিপাকে কৃষকরা।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের রসুলপুর ব্রহ্মতর গ্রামে কৃষি জমিতে প্রথমবারে মতো থ্রি-স্টার ব্রিকস্ নামে একটি ইট ভাটা চালু করেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী।

গত ৫ এপ্রিল গভীর রাতে ভাটার ইট পোড়ানো শেষে অদক্ষ ফায়ারম্যান ইটের চুল্লির মুখ খুলে দেয়ায় বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক বিঘা জমির উঠতি বোরো ধান ক্ষেত, বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা, ফল, বাঁশ বাগান পুড়ে যায়।

এতে মাথায় হাত পড়ে উঠতি বোরো ধানচাষি কৃষকের। ইটভাটা মালিকরা তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও তা পাননি ক্ষতিগ্রস্তরা।

এতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তারা এই ক্ষতিপূরণ আদৌ পাবেন কি না এ নিয়ে চিন্তিত।

রসুলপুর ব্রহ্মতর গ্রামের কৃষক রাজু আহমেদ, হাসু মিয়া, কিষাণী ছকিনা বেগম, ফাতেমা বেগম জানান, বন্যায় এই এলাকায় এক ফোঁটা ধানও ঘরে তুলতে পারেননি তারা। এবার অনেক আশা ছিল ঘরে ধান তুলবেন। কিন্তু ইট ভাটার কারণে সে আশা ধুলিসাৎ হয়ে গেছে।

কিষাণী হাসিনা বেওয়া জানান, ধারদেনা ও অন্যের বাড়িতে কাজ করে বন্ধকী পৌনে দুই বিঘা জমিতে এবার আবাদ করেছিলেন। ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে তার ধানক্ষেত পুড়ে গেছে। ক্ষেত থেকে খড় ছাড়া কিছুই মিলবে না বলে জানান তিনি।

এ অবস্থায় ইটভাটার মালিকদের কাছে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তা না হলে এখানকার কৃষকদের উপোসে দিনাতিপাত করতে হবে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।

থ্রি-স্টার ব্রিকস ইটভাটা ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক সাংবাদিকদের জানান, ইট পোড়ানো শেষে ভাটার অদক্ষ ফায়ারম্যানের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। ইটভাটাটি এখানে নতুন তাই এমনটি হয়েছে।

ওই ইটভাটার মালিক পক্ষের একজন ইসমাইল হোসেন জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে আলোচনা করেছি। তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এসএম রেজাউল করিম জানান, ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও বোরো ধান ক্ষেতের পরিমাণ নির্ণয় করে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য ইটভাটা মালিককে বলা হয়েছে।

কেআরআর/জিএআই

(অনলাইন সংবাদমাধ্যম সুত্রে প্রাপ্ত খবর: সোর্স- পরিবর্তনডটকম)

বিভাগীয় খবর | জনপদ | জনকল্যাণ

ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে বোরো ধানক্ষেত নষ্ট